নিজের পোষা অসুস্থ কুকুরছানাকে একটি কচ্ছপের মুখে তুলে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষিকা রবার্ট ক্রসল্যান্ড। কুকুরছানাটি খেতে এই বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপটির বেশি সময় লাগেনি। এ জন্য ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
আর এই নির্মম দৃশ্যটি দেখে ক্লাসভর্তি ছোট ছোট শিক্ষার্থী। গত মার্চ মাসে দেশটির আইডাহো অঙ্গরাজ্যের প্রিস্টন জুনিয়র হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় অবৈধ ও নির্মমভাবে প্রাণী হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হন ক্রসল্যান্ড। যদি ক্রসল্যান্ডের দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে এর জন্য তাঁকে গুনতে হতে পারে পাঁচ হাজার ডলার। এ ছাড়া ছয় মাসের কারাদণ্ডও হতে পারে তাঁর।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ক্রসল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি।বিদ্যালয়টিতে বেশ কয়েক বছর ধরে পড়াচ্ছেন এমন কয়েকজন শিক্ষক ক্রসল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন তাঁর বহিষ্কার চেয়েছেন। আবেদনে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি সত্যিই চান শিক্ষকরা সংবেদনশীল ছাত্রছাত্রীদের সামনে প্রাণী হত্যা করুক?’ তাঁর এই আবেদনপত্রে এক লাখ ৯০ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেন।প্রাণীদের প্রতি নৈতিক আচরণবিষয়ক কর্মীরা বলছেন, ক্রসল্যান্ডকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি যেতে দেওয়া উচিত নয়।
এদিকে, ‘উই সাপোর্ট ক্রসল্যান্ড’ নামে ক্রসল্যান্ডের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছে আরেকটি দল। তাঁদের আন্দোলনে তাঁরা বলেন, ‘যে আমাদের নতুন পদ্ধতিতে বিজ্ঞান শেখাচ্ছেন, এবং যিনি শিক্ষকতা ভালোবাসেন, তার পক্ষে আমরা।’ এই আবেদনে প্রায় তিন হাজার ৭০০ গণস্বাক্ষর পড়ে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ক্রসল্যান্ডের সহকর্মী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় জনগণ।আবার তাঁর কিছু সমর্থক বলছেন, কুকুরছানাটি মারাই যাচ্ছিল। তাই এটা করাই নাকি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটি বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। আর কচ্ছপটিকে দেশটির কৃষি বিভাগে সংরক্ষণের জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়।